চকরিয়া নিউজ ডেস্ক :
ভিত্তিফলক উন্মোচনের প্রায় সাড়ে ৬ বছর পর চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেললাইন প্রকল্পের নির্মাণ কাজ শুরু হতে যাচ্ছে। ইতোমধ্যে প্রয়োজনীয় অর্থের সংস্থান হয়েছে। মাঠ পর্যায়ে প্রথম ধাপের কাজ শুরু হবে আগামী মাসের মধ্যেই।
সূত্রে জানা গেছে, প্রকল্পটি বাস্তবায়ণ করা হবে দুই ধাপে। প্রথম ধাপে চট্টগ্রামের দোহাজারি থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত রেললাইন নির্মাণ করা হবে। দ্বিতীয় ধাপে রেললাইন যাবে কক্সবাজার থেকে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার সীমান্তবর্তী এলাকা ঘুমধুম পর্যন্ত। ডুয়েলগেজের এ রেললাইন নির্মাণে ব্যয় হবে প্রায় ১৮ হাজার কোটি টাকা। প্রকল্পের জন্য ভূমি অধিগ্রহণে অর্থ দিচ্ছে সরকার। মূল প্রকল্প বাস্তবায়নে ঋণ সহায়তা দিচ্ছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)। চার কিস্তিতে এক হাজার ৫০০ মিলিয়ন ডলার দেবে এডিবি।
গত ২০১১ সালের ৩ এপ্রিল কক্সবাজার সদর উপজেলার ঝিলংজায় প্রকল্পের ভিত্তিফলক উন্মোচন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
জানা গেছে, এই রেললাইনের মাধ্যমে ২৭টি দেশের সঙ্গে যুক্ত হবে বাংলাদেশ। পর্যটন কক্সবাজারের সাথে সারাদেশের যোগাযোগ ব্যবস্থায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন আসবে। এতে সমৃদ্ধ হবে পৃথিবীর দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকতের শহর কক্সবাজার। বছরে ২০ লাখেরও বেশি যাত্রী এ রেললাইনের মাধ্যমে যাতায়াত করতে পারবেন।
প্রকল্প সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, প্রকল্পের আওতায় চট্টগ্রামের দোহাজারি থেকে কক্সবাজারের রামু পর্যন্ত ৮৮ কিলোমিটার, রামু থেকে কক্সবাজার শহর পর্যন্ত ১২ কিলোমিটার এবং রামু থেকে ঘুমধুম পর্যন্ত ২৮ কিলোমিটার রেললাইন নির্মাণ করা হবে। প্রকল্পের আওতায় চট্টগ্রামের সাতকানিয়া ও লোহাগাড়া, কক্সবাজারের চকরিয়া, ডুলাহাজারা, রামু, ঈদগাঁও, কক্সবাজার ও উখিয়ায় নয়টি রেলস্টেশন, ৪৭টি ব্রিজ, ১৪৯টি কংক্রিট বক্স-কালভার্ট, ৫২টি কংক্রিট পাইপ কালভার্ট, ১৪৪টি লেভেল ক্রসিং এবং রামু ও কক্সবাজারে দুটি হাইওয়ে ক্রসিং করা হবে।
২০২০ সালের মধ্যে নির্মাণকাজ শেষ করতে প্রকল্পের চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার- দুই দিক থেকে নির্মাণকাজ চলবে। যৌথভাবে প্রথম লটের কাজ পেয়েছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না রেলওয়ে ইঞ্জিনিয়ারিং গ্রুপ ও তমা কনস্ট্রাকশন কোম্পানি লিমিটেড। এ লটের কাজে ব্যয় হচ্ছে দুই হাজার ৬৮৮ কোটি টাকা। দ্বিতীয় লটের কাজ পেয়েছে যৌথ ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং কনস্ট্রাকশন করপোরেশন ও ম্যাক্স ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিমিটেড। এ লটের কাজে ব্যয় হচ্ছে তিন হাজার ৫০২ কোটি টাকা।
দোহাজারী-কক্সবাজার রেললাইন প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক প্রকৌশলী মফিজুর রহমান গণমাধ্যমকে বলেন, ‘ভূমি বরাদ্দ পেতে চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার জেলা প্রশাসনকে প্রয়োজনীয় অর্থও দেওয়া হয়েছে। তবে এখনও ভূমি বুঝে পাইনি। কিছুদিনের মধ্যে কিছু ভূমি হস্তান্তরের কথা রয়েছে।’
প্রকাশ:
২০১৭-১১-২১ ১২:৪৫:৪৬
আপডেট:২০১৭-১১-২১ ১২:৪৫:৪৬
- চকরিয়ার দুই ইয়াবা পাচারকারী পটিয়ায় গ্রেফতার, মাইক্রোবাস জব্দ
- চকরিয়ায় ছুরিকাঘাতে স্ত্রীকে খুনের ঘটনায় ঘাতক স্বামী মেহেদীসহ ৫ জনের নামে মামলা
- চকরিয়ায় মসজিদে নামাজ পড়তে গিয়ে হার্ট অ্যাটাকে বৃদ্ধের মৃত্যু
- চকরিয়ায় স্ত্রী হত্যাকারী মেহেদী লামাতে আটক
- চকরিয়ায় স্বামীর ছুরিকাঘাতে স্ত্রী, সড়ক দুর্ঘটনায় যুবক ও সংঘর্ষে ব্যবসায়ী নিহত
- চকরিয়ায় স্বামীর চুরিকাঘাতে স্ত্রী নিহত, শ্বাশুড়ি আশংকাজনক
- মালুমঘাট সড়ক দূর্ঘটনায একজন নিহত
- মিলেমিশে চলছে সোনাদিয়া দ্বীপ ধ্বংসের প্রতিযোগিতা
- চকরিয়ায় আঞ্চলিক সড়কে যানবাহনে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে পুলিশের জালে
- চকরিয়ায় মসজিদের নামে অর্ধকোটি টাকা আত্মসাৎ
- নিরাপদ খাদ্য উৎপাদন নিশ্চিতে চকরিয়ায় কৃষিজমির সর্বোচ্চ ব্যবহার বাড়ানোর তাগিদ
- মিলেমিশে চলছে সোনাদিয়া দ্বীপ ধ্বংসের প্রতিযোগিতা
- চকরিয়ায় পৌরশহরের তিনটি আবাসিক হোটেল ও চারটি রেস্টুরেন্টে অভিযান
- শীতের কম্বল দিতে বেড়িয়ে পড়েন চকরিয়ার মানবিক ইউএনও আতিকুর রহমান
- মালুমঘাট সড়ক দূর্ঘটনায একজন নিহত
- চকরিয়ায় বিএনপি নেতাকে কুপিয়ে হত্যা চেষ্টার অভিযোগ
- পেকুয়ায় রব্বত আলী পাড়া সড়কে গাড়ি চলে না ২০ বছর!
- চকরিয়ায় স্বামীর ছুরিকাঘাতে স্ত্রী, সড়ক দুর্ঘটনায় যুবক ও সংঘর্ষে ব্যবসায়ী নিহত
- চকরিয়ায় আঞ্চলিক সড়কে যানবাহনে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে পুলিশের জালে
- কক্সবাজার সিটি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আকতার চৌধুরী
- চকরিয়ায় স্বামীর চুরিকাঘাতে স্ত্রী নিহত, শ্বাশুড়ি আশংকাজনক
- কিশলয় শিক্ষা নিকেতন স্কুলে বিলুপ্ত কমিটির স্বাক্ষর নিয়ে বিল ভাউচার করার অভিযোগ
পাঠকের মতামত: